রাজশাহী বিভাগে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যে বিভাগের রাজশাহী ও নাটোর জেলাকে মধ্যম পর্যায়ের (হলুদ জোন) ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী জেলায় ৩ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনা শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং নাটোরে ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৮ জেলায় ৫৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৬ জনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর আগের দিন ৪৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

নতুন শনাক্ত হওয়া ৫৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬ জন রাজশাহীর। এ ছাড়া বগুড়ায় ১৪ জন, জয়পুরহাটে ৬ জন, নাটোরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, নওগাঁর ২ জন ও সিরাজগঞ্জে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে বিভাগের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। নতুন ৫৬ জন নিয়ে বিভাগে মোট করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭৯। বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৬ হাজার ৪২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এখন পর্যন্ত বিভাগে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রাজশাহী ও নাটোরকে মধ্যম ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে। এ সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়ছে, তার মানে এটা করোনার নতুন ধরন অমিক্রন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অমিক্রন খুব মারাত্মক না হলেও দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই মাস্ক পরার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। আর করোনার টিকা অবশ্যই নিতে হবে।